বাংলাদেশের বন্ড ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম দূরীকরণ প্রসঙ্গে

আলোচনাঃ

বাংলাদেশে বন্ড ব্যবস্থাপনায় যে অনিয়ম রয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য তথা যথাযথ সফল ভাবে বন্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সুফল আসবে বলে আমি মনে করিঃ

(১) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কঠোর নজরদারী।

(২) নূতন লাইসেন্স প্রদান সতর্কতা অবলম্বন করা।

(৩) বন্ড লাইসেন্সধারী পুরাতন নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান তদন্ত করে লাইসেন্স বাতিল করা।

(৪) বন্ড প্রতিষ্ঠান গুলোকে বন্ডের নিয়ম নীতি মেনে চলতে বাধ্য করা।

(৫) বন্ড গুলো নিয়মিত যথাযথ অডিট করা ও নিয়মিত অডিট করাতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা।

(৬) বিজিএমইএ ইউডি সংশোধন করলে তা অন লাইনে যেন দেখা যায় তার ব্যবস্থা করা।

(৭) সহগ এর বাইরের পন্য বন্ড লাইসেন্স থেকে বাদ দেওয়া। প্রাপ্যতা দেয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করা।

(৮) সেকশন ৯৮ অনুযায়ী বন্ডিং  মেয়াদ বিহীন পন্যের শুল্ক করাদি আদায় করা। 

(৯) মেশিনের প্রকৃত উৎপাদন দেখে বন্ডিং ক্যাপাসিটি নির্ধারণ।

(১০) কম্পজিট প্রতিষ্ঠানের মতো গার্মেন্টস এর ক্ষেত্রে কাঁচামাল মজুদ ও ব্যবহার  রেজিস্ট্রার চালু করা।

(১১) রপ্তানির বিপরীতে প্রকৃত বৈ:মুদ্রা আসছে কি না তা যথাযথ মনিটরিং করা ।

(১২) এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্টো’র সাথে মিলিয়ে রপ্তানি হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া। 

(১৩) কি কি ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করলে রপ্তানি বলে গন্য হবে তা বোর্ড নির্ধারন করে দেয়া। কোন পন্য বিধি বহিঃভূত ভাবে রপ্তানি করে PRC আসছে এই বিবেচনায় রপ্তানি গন্য না করা।

(১৪) ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে বন্ডেড পন্য/উপকরণ বন্দর থেকে বন্ডারের গুদামে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। বিষয়টি এমন বন্দর থেকে বন্ডের সংবেদনশীল পন্য/কাচামাল বাহিত গাড়ি GPS মাধ্যমে ট্যাকিং করা, অতপর তা বন্ড গুদাম ব্যাতিত অন্য দিকে গমন করলে সাথে সাথে তা আটক করা।

(১৫) দ্রুত বন্ড অটোমেশন বাস্তবায়ন করা।

(১৬) পন্য রপ্তানি কালে জাহাজীকরনের পর বি,এল অনলাইনে দেয়া অতপর শিপিং এজেন্ট এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট অন লাইনে সাবমিট করা তা অডিট কালে পন্য রপ্তানি হয়েছে কিনা মিলিয়ে দেখা।

(১৭) অন্তত ২/৪ বছর কাস্টম ডিপার্টমেন্টে  চাকুরীর বয়স হয়েছে এমন অফিসার পদায়ন করা, সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত অফিসার বন্ডে পদায়ন না করা, পদায়ন করা হলেও তাদের উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে পদায়ন করা।

(১৮) তুলনামূলক  সৎ ও দক্ষ অফিসার বন্ডে পদায়ন  করা। 

(১৯) একি সাথে পদায়নকারী অফিসার যদি বন্ডারের অনিয়মের সাথে জড়িত/সহায়তাকারী হয়ে থাকে কঠোর শাস্থির প্রয়োগ করা। কারণ বেশির ভাগ অফিসার ভালো ২/১ জনের জন্য পুরো ডিপার্টমেন্টের সুনাম নষ্ট হয়।

(২০) ঝটিকা প্রিভেন্টিভ করে বন্ডের চোরাই পন্য আটক করা।

(২১)  বন্ডের পন্য চুরি বা কোন প্রতিষ্ঠান অনিয়মের খবর সরবরাহকারীকে সোর্স মানি দেয়া।

(২২)  অনিয়ম উদঘাটনকারী অফিসারকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা।

(২৩) বন্ড অফিসে ই-ফাইলিং কার্যক্রম ও নথিপত্র সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।

(Ibrahim Hossain RO,Training Academy Chattogram)