অনেকে ডিপোজিট পেনশন স্কিম বা ডিপিএস করেন। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিপিএস করলে অর্থাৎ বছরে ৬০ হাজার পর্যন্ত টাকা রাখলেও কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে। এর মানে, ডিপিএস করাও একধরনের বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ছয়টি খাত আছে, যেখানে আপনি বিনিয়োগ করলে কর ছাড় পাবেন। এ খাতগুলো হলো—জীবনবিমার প্রিমিয়াম; সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা; স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাঁদা; কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বিমার তহবিলে চাঁদা; সরকার অনুমোদিত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ এবং সুপার এনুয়েশন ফান্ডে চাঁদা।
যেকোনো জায়গায় দান করলে কর কমবে—এটা ভাববেন না। মোটাদাগে ১৩টি খাতে দান করলে কর রেয়াত পাওয়া যাবে। এগুলো হলো জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান; জাকাত তহবিল; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুমোদিত দাতব্য হাসপাতাল; প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান; মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর; আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক; আহছানিয়া ক্যানসার হাসপাতাল; ঢাকা আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল; এশিয়াটিক সোসাইটি; আইসিডিডিআরবি; সিআরপি; মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান এবং সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কর রেয়াত নেওয়ার নিয়ম
কর রেয়াত পেতে এসব খাতে একজন করদাতা বছরের মোট আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ বা দান করতে পারবেন। এর বেশি করলে অতিরিক্ত অংশের কর রেয়াত মিলবে না। ওই বিনিয়োগকারী বা দানশীল করদাতার বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার কম হলে মোট বিনিয়োগ ও দানের ১৫ শতাংশ কর ছাড় মিলবে। ১৫ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ হারে কর ছাড় পাওয়া যাবে। কর রেয়াত নিতে হলে রিটার্ন ফরমের সঙ্গে ২৪ডি তফসিল ফরম পূরণ করতে হবে।
Comments
Post a Comment