বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী একজন বাংলাদেশি কি পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাথে রাখতে পারবেন?
FE Circular no: 08, Date 11/02/2020- মোতাবেক ১০,০০০ মাঃ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিনা ডিক্লেয়ারেশনে রাখা যাবে
বাংলাদেশ এর নাগরিকরা বিদেশ থেকে আসার সময় কোন ঘোষণা ছাড়াই ১০,০০০ মাঃ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে রাখতে পারবেন বা আনতে পারবেন । এজন্য সংশোধিত FMJ(Foreign Money and Jewellery) (ফরেন মানি অ্যান্ড জুয়েলারি) form এ উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও ঘোষণা ছাড়াই অনধিক দশ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি নাগরিকরা সঙ্গে রাখতে পারবেন বা অনুমোদিত ডিলারের( ডিলার মানে যে বা যিনি/প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যংকের নিকট হতে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন, যেমন: মানি এক্সচেঞ্জ, ব্যাংক) Foreign Currency Account জমা রাখতে পারবেন এবং বাংলাদেশ হতে বিদেশ যাওয়ার সময় তা সঙ্গে বহন করে ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন।
নিবাসী মানে বাংলাদেশী যিনি বিদেশে থাকেন ও সেখানে অর্থ উপার্জন করেন এমন ব্যক্তি কর্তৃক ১০,০০০ মাঃ ডলারের বেশি অর্থ আনলে তা মানি এক্সচেঞ্জে বিক্রয় বা Foreign Currency Account এ জমা রাখা বাংলাদেশীদের জন্য বাধ্যতামূলক। ১০,০০০ মাঃডঃ এর বেশি ঘোষণা দিয়ে আনা যেকোন পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগমণের ৩০ দিনের মধ্যে টাকায় ভাঙাতে হবে, অথবা প্রযোজ্য ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করতে হবে।
অনিবাসী (যিনি বাংলাদেশী নয় এমন ব্যক্তির) আনা বৈদেশিক মুদ্রা যেকোন মানি এক্সচেঞ্জ, ব্যাংক থেকে নগদায়ন করতে পারবেন অথবা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করতে পারবেন, অব্যবহৃত অংশ বাংলাদেশ ত্যাগ কালে ফেরত নিতে পারেন। ১০,০০০ মাঃডলারের বেশী আনা অর্থ বিদেশে ফেরত নেওয়ার সময় ইতোপূর্বে ঘোষিত FMJ
Form এর ঘোষিত পত্রেরকপি সাথে রাখতে হবে।
শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে FMJ ফরমে ঘোষণা দিয়ে যেকোন পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে আসার সময় সঙ্গে আনা যাবে। তবে সঙ্গে করে আনা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ অনধিক ১০,০০০ মার্কিন ডলার বা সমতুল্য হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা প্রদান আবশ্যক হবে না।
বিদেশিদের ক্ষেত্রেও ঘোষণা দিয়ে আনা সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা এবং ঘোষণা ছাড়া আনা অনধিক ১০,০০০ মাঃ ডলার বাংলাদেশ ত্যাগকালে অবাধে প্রত্যাবাসনযোগ্য হবে তবে সেক্ষেত্রে তাকে বহির্গমণ কালে ঘোষিত FMJ ফর্ম সাথে রাখতে হবে। ।
আগত বৈদেশিক পর্যটক অব্যবহৃত অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃরুপান্তর করে নিয়ে যেতে পারবেন। ফেরত নেওয়ার সময় মানি এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ৫০০ মাঃ ডলার বেশী নয় এবং বিমানবন্দরের বাহিগমন বুথ থেকে ১০০ মাঃডঃ পর্যন্ত চেঞ্জ করে নিতে পারেবেন।
এছাড়া ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশি কারেন্সি বিদেশে নেওয়া যাবে। একইভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় যে কেউ বাংলাদেশি কারেন্সি ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বহন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বাইরে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষাগ্রহণসহ সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণে একবারে সর্বোচ্চ নগদ ৫,০০০ মাঃ ডলার নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এক পঞ্জিকা বছরে সর্বোচ্চ ১২,০০০ মাঃ ডলার পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ক্রয় করতে পারবেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১২ বছর পর্যন্ত ক্ষেত্রে উপরে বর্নিত হিস্যার ৫০% প্রাপ্ত হইবে( FE
Circular No 30, Date 25/7/2019 যা ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে কার্যকর রয়েছে )
এক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে তাদের নিজ নিজ ব্যক্তিগত ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভ্রমণ কোটা বা বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ বা উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমন বা অন্যান্য বিশেষ বা সাধারণ অনুমোদন মোতাবেক ছাড়যোগ্য বিদেশি মুদ্রা থেকে প্রতিবার ভ্রমণে যাত্রীপিছু অনধিক ৫,০০০ মাঃডঃ নগদ নোট আকারে ইস্যু করা যাবে,এর অতিরিক্ত নিতে হলে কার্ডের মাধ্যমে নিতে হবে । চিকিৎসার জন্য এককালীন ১০,০০০ মাঃডলার নিতে পারবেন এর বেশী হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ও অনুমোদনক্রমে নিতে হবে।
উপরে উল্লিখিত বিষয় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা ২০০৯-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় বর্ণিত নির্দেশনা পরিপালন করার কথা বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।
Comments
Post a Comment