Skip to main content

Posts

Showing posts from 2020

আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ১০টি নিঞ্জা টেকনিকঃ

আমাদের দেশে রিটার্ন দাখিল করাকে অনেকে ঝক্কির বিষয় বলে মনে করেন। আমাদের মাঝে অনেকেরই বদ্ধমূল ধারণা এই যে, রিটার্ন দাখিল করলেই ট্যাক্স অফিসের নজরে পড়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে, রিটার্ন দাখিল না করলেই বরঞ্চ ট্যাক্স অফিসের নজরে পড়বে। তাই, করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক টিন নিলেই রিটার্ন দাখিল করাই শ্রেয়। পাশাপাশি যদি একটু কৌশলী হওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই, উল্টো আরও কর ছাড়ও পাওয়া যাবে। নিম্নে রিটার্ন দাখিল করার ১০টি নিঞ্জা টেকনিক নিয়ে আলোচনা করা হলঃ 🔹নিঞ্জা টেকনিক-১- পুরুষদের ৩লাখ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩লাখ ৫০হাজার পর্যন্ত আয় হলে কোন কর দিতে হবে না। সুতরাং যারা করমুক্ত সীমার নিচে আয় করেছেন তারা নির্ভয়ে রিটার্ন জমা দিন। কিন্তু যাদের বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেছে, খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, তাদের প্রত্যেকেরই বেতন দেয়ার সময় অফিস থেকে ট্যাক্স কেটে রাখে এবং তারা যদি সরকার নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ করার ফলে তারা যে রিবেট(কর ছাড়) পাবে এরপর আর কোন আর ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না, শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই যথেষ্ট। 🔹নিঞ্জা টেকনিক-২- বাড়ীওয়ালারা যারা মাসিক ২৫ হাজার টাকার বেশী ভাড়া পেয়ে থাকেন তারা যদি বাড়ী ভা...

বায়িং হাউজ সেবায় মূসক আদায় সংক্রান্ত।

বায়িং_হাউজ এর ক্ষেত্রে মূসক এর বিধান কী?  উত্তর_বায়িং_হাউজ হচ্ছে আমাদের দেশে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের এক ধরনের ব্যবসা। 'বায়িং হাউজ'  শব্দ দুটির ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, "বাই" মানে কেনা আর "হাউজ' শব্দটি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বায়িং হাউজের মূল কাজ হচ্ছে বিদেশি  বায়ারের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার নেগোশিয়েট করা। অর্ডার  কনফার্ম হয়ে গেলে সেটা কোন ফ্যাক্টরির মাধ্যমে কমিশনের বিপরীতে এক্সিকিউট করা। বলা যায় বায়িং হাউজ এখানে  কমিশন এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। মূসক প্রযোজ্য হয় পণ্য/সেবা সরবরাহের ওপর। মূসক আইনের তফসিল দ্বারা 'বায়িং হাউজ' সেবার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়নি। অর্থাৎ 'বায়িং হাউজ' সেবা একটি করযোগ্য সেবা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং- ১৮৬- আইন/২০১৯/৪৩-মূসক, তারিখ-১৩/০৬/২০১৯ এর মাধ্যমে করযোগ্য সেবার পরিধি নির্ধারণের লক্ষ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।  উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে 'বায়িং হাউজ' নামে কোন সেবার কোড বা  সংজ্ঞা নাই। তবে সেবার কোড- এস-০১৪.০০ ভুক্ত  "ইন্ডেনটিং সংস্থা"  সেবার ব্যাখ্যার সাথে বায়িং হাউজ কার্যক্রমে...

চালানপত্র কী ও কেন?

চালানপত্র হলো মূসক আইনের অধীনে যত ধরণের দলিল সংরক্ষণ করতে হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য/সেবা বিক্রয়ের সময় ক্রেতার হাতে যে ক্যাশমেমো বা ইনভয়েস দেয়া হয়, সেটাই মূসক চালানপত্র। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা ৫১ অনুযায়ী মূসক ৬.৩ বা মূসক ৬.৯ ফরমে পণ্য/সেবা বিক্রয়ের সমর্থনে  পণ্য/সেবার পরিমাণ, মূল্য ও মূসকের পরিমাণ উল্লেখ করে যে রশিদ বা ক্যাশমেমো দেয়, সেটিই হলো চালানপত্র। এটি হলো পণ্য/সেবার মালিকানা সংক্রান্ত দলিল। ধরা যাক, আপনি জমি ক্রয় করেছেন কিন্তু সাফ কবলা দলিল করাননি কিংবা আপনার দলিলটা জাল কিংবা জমির মালিক আগে অন্য কারো কাছে একই জমি বিক্রয় করেছেন। এরূপ ক্ষেত্রে  আপনি যেমন জমির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না, ঠিক তেমনি বৈধ মূসক চালানপত্র ছাড়া পণ্য/সেবার বৈধ মালিক হওয়া যায় না। চালানপত্র অবৈধ হলে মূসক ফাঁকি হয়, গৃহীত রেয়াত অবৈধ হয়ে যায়। যে ব্যবসায়ী ভুয়া বা অবৈধ মূসক চালানপত্রের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করেন, তিনি প্রকারান্তরে ভোক্তা বা ক্রেতার দেয়া ভ্যাট আত্নসাৎ করেন।  চালানপত্র বৈধ হওয়ার শর্ত 📀💿📀💿📀💿📀💿 ১. এটি কমপক্ষে দুই প্রস্তে ইস্যু কর...

আমদানি নীতি আদেশ

The Imports & Exports Control Act 1950 এর Section 3(1) অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে Import Policy Orders (IPO)বা আমদানি নীতি আদেশ জারী করা হয়। কাস্টমস এর সহযোগী আইনের মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর প্রধান প্রধান নীতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। (ক) অবাধে আমদানিযোগ্য পণ্য: এ জাতীয় পণ্য আমদানি তে কোন শর্ত নেই। যে কোন বাণিজ্যিক আমদানিকারক এল সি খুলে তা আনতে পারবেন। যেমন : জামা, জুতা, ছাতা ইত্যাদি। (খ) শর্তযুক্ত পণ্য: এ জাতীয় পন্য আমদানিতে কিছু শর্ত থাকে তা পরিপালন সাপেক্ষে আমদানি ও খালাসযোগ্য। যেমন : গুড়ো দুধ, হাঁস মুরগীর খাদ্য। (গ) নিষিদ্ধ পণ্য : এ জাতীয় পণ্য আমদানি হলে কোন ভাবেই খালাসযোগ্য নয়। যেমন: আফিম, হেরোইন, অশ্লীল প্রকাশনা। (গ) সকল পণ্য LC/LCA খুলে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানি করতে হবে। (সরকারী/কূটনৈতিক/ব্যক্তিগত আমদানি ব্যতিত) (ঘ) এলসি/এলসিএ খোলার তারিখ হতে ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্ষেত্রে ১৭ মাস ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ৯ মাসের মধ্যে পণ্য আমদানি করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে এলসি মেয়াদ চলে গেলে তা সংশোধন করতে হবে। (ঙ) পণ্যের/মোড়কের গায়ে country of ...

বিন BIN Certificate কি?

প্রতিটি ব্যবসায় একটি অদ্বিতীয় বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে। এই নম্বরটিকে বিন নম্বর বলা হয়। এই নম্বরটি পেতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে নিবন্ধন করতে হয়। #কেন_বিন_করতে_হয়: ঳ ব্যবসা পরিচালনার জন্য (যে কোন ধরণের সার্ভিস প্রদান ব্যবসা) ঳ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার জন্য ঳ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঳ আমদানি ও রপ্তানির সকল ক্ষেত্রে #বিন_সার্টিফিকেট: বাংলাদেশে প্রথমে ৯ ডিজিটের অ্যানালগ বিন সার্টিফিকেট ছিল। এরপর ২০১৮ সালে অনলাইন হওয়ার পর সেটা ১১ডিজিট করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে সকল বিন সার্টিফিকেট ১৩ ডিজিটের। যে সকল ব্যবসায়ীরা পূর্বের কোন বিন সার্টিফিকেট নিয়েছেন, তাদেরকেও অবশ্যই ১৩ ডিজিটের এই বিন সার্টিফিকেট করে নিতে হবে।  #বিন_সার্টিফিকেট_করতে কি কি লাগবে: ১. ট্রেড লাইসেন্স ২. জাতীয় পরিচয়পত্র ৩. টিন সার্টিফিকেট ৪. ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট ৫. লিমিটেড কোম্পানী বা পার্টনারশীপ ফার্ম হলে অন্যান্য ডকুমেন্টস #বিন_করার_পর_ভ্যাট_রিটার্ণ_জমা_দিতে হবে কি না..? বিন সার্টিফিকেট করার পর আপনাকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গতমাসের বিক্রয়ের উপর হিসাব করে ভ্যা...

Letter of Credit

LC (এলসি )  অর্থ "লেটার অফ ক্রেডিট", নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করার পরে ক্রেতার কাছ থেকে কোনও বিদেশি ব্যাংকের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয় যে -নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করা হয়েছে । যেকোনও দেশ থেকে পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। ‌‌‌কিভাবে করবেন? প্রথমেই আপনাকে " আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক অফিস" বা CCIE অফিস থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি আমদানি লাইসেন্স করতে হবে যা IRC (Import Registration Certificate) নামে পরিচিত। IRC করার জন্য লাগবেঃ > NID বা জাতীয় পরিচয় পত্র > তিন কপি ছবি (পাসপোর্ট সাইজ) > ট্রেড লাইসেন্স > TIN সার্টিফিকেট   যে দেশ থেকে পন্য আমদানি করবেন সেই দেশের supplier বা উৎপাদনকারী সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এটা যে কোন ভাবেই হতে পারে, আপনার জানাশোনা থাকতে পারে বা amazon, alibaba থেকেও যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি অর্ডার করতে পারেন। Supplier বাছাই করার পর আপনার কাঙ্ক্ষিত পন্যের পরিমান, ধরন, সংখ্যা ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরন Supplier কে জানানোর পর সে মূল্য সম্পর্কে একমত হবার পর তার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বিস্তারিত পন্যের বিবরন, পরিমান, দাম ও শর্ত সংযুক্ত একটি পূর্নাঙ্গ পত...

কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর যে সকল ধারা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ যা প্রতিদিন আপনার দাপ্তরিক কাজে লাগবে।

কাস্টমস_এক্ট,১৯৬৯ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর যে সকল ধারা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ যা প্রতিদিন আপনার দাপ্তরিক কাজে লাগবে। একজন কাস্টমস কর্মকর্তা  হিসাবে আপনার জানা প্রয়োজন, তা আমি যতটুকু জানি তা আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য দিলাম:-আমার লেখা আইনের ভাষার মত হবুহু নয়, তবে আইনের মেরিট ঠিক রেখে সহজ ভাষায় আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য  দেয়া হয়েছে:- সেকশন ২ (গ) :-  #সংজ্ঞা :#বিল_অব_এন্ট্র  অর্থ ধারা ৭৯ এর অধীন দখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রেরিত নিদিষ্ট বিবরণ সম্বলিত বিল অব এন্ট্রিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। সেকশন ২(ঘ) :#বিল_অব_এক্সপোর্ট  অর্থ ধারা ১৩১ এর অধীন দখিলকৃত বিল অব এক্সপোর্ট এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রেরিত নিদিষ্ট বিবরণ সম্বলিত বিল অব এক্সপোর্টও  ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। সেকশন ২ (ঠঠ): #আমদানি_মেনিফেস্ট (IGM): ৪৩ ধারা অনুযায়ী অনলাইনে  দাখিলকৃত মেনিফেস্ট। এ মেনিফেস্ট  জাহাজ পূর্ববতী বন্দর ত্যাগ করার আগেই অনলাইনে  s...

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যদি অনলাইনে তার উৎপাদিত পন্য বিক্রয় করে তবে সেক্ষেত্রে ভ্যাট এর হার কত হবে?

অনলাইনে _পণ্য_বিক্রয়' সেবার (S099.60) সংজ্ঞা অনুযায়ী যে সকল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পণ্য/সেবা সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী/সেবা প্রদানকারীর নিকট হতে মূসক পরিশোধপূর্বক সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সেবামূল্য/সার্ভিসচার্জ এর বিনিময়ে তা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেন। যাদের নিজস্ব কোন বিক্রয় কেন্দ্র নাই। অর্থাৎ তারা একটা বিক্রয় মাধ্যম (Sales Channel) হিসাবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সেই সেবামূল্যের বিপরীতে ৫% হারে মূসক প্রযোজ্য। অপরদিকে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উল্লিখিত কার্যক্রম গ্রহণের সুযোগ নাই। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে অথবা অন্য যে কোনো মাধ্যমে সরবরাহ করুক না কেন, তাদেরকে সরবরাহের বিপরীতে ১৫% হারে মূসক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক) পরিশোধ করতে হবে।

টায়ার রি-সাইকল(Tyre Recycle) করলে কি মূসক আদায়যোগ্য হবে ?

পুরাতন টায়ার অনেক ক্ষেত্রেই রিসাইকল করে পুনঃ ব্যবহারযোগ্য করা হয়, যা উন্নত দেশেও আধুনিক যুগে করা হয়ে থাকে।  কোন পণ্য বা সেবার উপর ভ্যাট আছে কি নেই সেটা জানতে হবে মূসক আইনের মাধ্যমে। এখানে ধারণাগত পদ্ধতি বা আবেগের কোন সুযোগ নাই। মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২  এর; (ক) ধারা- ২৬ এর মাধ্যমে প্রথম তফসিলে উল্লিখিত পণ্য/সেবাকে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সাধারণত মৌলিক পণ্য যেমন- জীবন্ত পশু, মাছ, শাকসবজি, গম ইত্যাদি এই প্রথম  তফসিল এর অন্তর্ভুক্ত।  প্রথম তফসিলের পণ্য/সেবা   সকল পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত। (খ) ধারা- ১২৬ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। প্রজ্ঞাপন  এস,আর.ও নং- ১৪৪- আইন/২০২০/১০৫ -মূসক,  তারিখ -১১/০৬/২০২০ এর মাধ্যমে ৫টি টেবিলে  কিছু পণ্য/সেবাকে   শর্ত সাপেক্ষে মূসক অব্যাহতি করা হয়েছে।  উক্ত এস,আর,ও এর  "টেবিল-২" আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে)  এবং "টেবিল -৩" (উৎপাদন পর্যায়ে) এর পণ্যগুলো পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই তালিকায় হলে শুধুমাত্র নির্ধারিত ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত। অন্যথায় স্বাভাবিকভাবে ভ্যাট আদায়  করতে হ...

পণ্য মূল্য বা মোট উপকরণ/কাঁচামালের মূল্য ৭.৫% এর বেশী পরিবর্তন হলে নতুন ঘোষণা দাখিল করা সংক্রান্ত

৪.৩ তে উপকরণ মূল্য যা আছে পরবর্তী মাসে আমদানি করার পর উক্ত উপকরণ মূল্য  বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৭.৫% এর নিম্নে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত রেয়াত  সমন্বয় করার জন্য কি পত্র দেয়া যেতে পারে?   সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা-৩২(৫) এবং বিধিমালার বিধি-২১ অনুসারে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে "মূসক-৪.৩" ফরমে উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input-Output Coefficient) ঘোষণা দাখিল করতে হয়। মূলত উপকরণ মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে পণ্য মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি হয়।মোট উপকরণ মূল্য ৭.৫% এর বেশী পরিবর্তন হলে নতুন উপকরণ-উৎপাদ সহগ দাখিল করতে হবে।   আইনের ধারা ৪৬(১) এর দফা (ঢ) অনুযায়ী মোট উপকরণ মূল্য ৭.৫% এর অধিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে  নতুন উপকরণ-উৎপাদ সহগ প্রদান না করলে অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ  কর রেয়াত গ্রহণ করা যাবে না। উল্লিখিত দফায় দুটি বিষয় বিবেচ্য। তাহলো, উপকরণ মূল্য ৭.৫% এর বেশী পরিবর্তন অর্থাৎ হ্রাস বা বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ। ধরা যাক, একটি পণ্যের সহগ ঘোষণায় (মূসক-৪.৩) ৮টি বিভিন্ন উপকরণ মিলে  মোট উপকরণ  মূল্য হচ্ছে ১০০ টাকা এবং মূল্য সংযোজন ৩০ টাকা। অর্...

স্ক্যানিং মেশিনের ব্যবহার কোথায়? এটি কিভাবে কাজ করে?

স্ক্যানিং মেশিন হলো এক প্রকার আধুনিক এক্স-রে মেশিন। মানুষের চিকিৎসায় যেমন এক্স-রে মেশিন, সিটি স্ক্যানার মেশিন দিয়ে এক্স-রে করিয়া শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশের ইমেজ বা ছবি দেখা যায়। তেমনি লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে উক্ত লাগেজ ও কন্টেইনারের মধ্যে কি পন্য আছে তা সনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশ কাস্টমসে ১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে শুধুমাত্র ঢাকা বিমান বন্দরে সীমিত আকারে যাত্রী ব্যাগেজ স্ক্যানিং করে খালাসের মাধ্যমে এদেশে স্ক্যানিং মেশিনের ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমান বন্দরে এ স্ক্যানিং মেশিনের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ কাস্টমস এর অধিক্ষেত্র সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর, স্থল শুল্ক ষ্টেশনে স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে যা ডিপার্টমেন্টের  কাস্টমস কর্মকর্তাগণ  অপারেট করেন,  ইমেজ এনালাইসিস করে চোরাচালান বা শুল্ক ফাকিরোধে কার্যকর ভুমিকা রাখেন।,ঢাকা চট্টগ্রাম, সিলেট, বেনাপোল স্থল বন্দরে যাত্রী ব্যাগেজ পরীক্ষার পাশাপাশি, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর অধিক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ২ টি ফিক্সড কন্টেইনার স্ক্যানিং ও একটি মোবাইল কন্টেইনার স্ক্যানিং...

Home Consumption বন্ড কি? এ বন্ড কি ভাবে পরিচালিত হয়?

বন্ড ও বন্ড প্রতিষ্ঠানঃ  বন্ড হলো একটি বিশেষ সুবিধা, যে সুবিধায় আপনি পন্য/উপকরণ আমদানি কালে কোন শুল্ককর পরিশোধ করতে হবেনা তবে বন্ডের শর্ত অনুযায়ী  পরবর্তীতে  নিদিষ্ট মেয়াদের মধ্যে উপকরণ দ্বারা তৈরিকৃত পন্য আপনাকে রপ্তানি করতে হবে অথবা শুল্ককর পরিশোধ করে দেশীয় ভোগের জন্য বিক্রি করতে হবে। দেশীয় ভোগের জন্য যে প্রতিষ্ঠান এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করে আসছেন,সেটি হলো Home Consumption বন্ড প্রতিষ্ঠান।  Home Consumption  বন্ডঃ যে সকল প্রতিষ্ঠান পন্য/উপকরণ আমদানিকালে ঐ পন্য/উপকরণের উপর কোন শুল্ক করাদি তাৎক্ষণিকভাবে জমা দেননা তবে পরবর্তীতে নিদিষ্ট মেয়াদের মধ্যে ঐ পন্য/উপকরণ দ্বারা পন্য উৎপাদন করে অতঃপর শুল্ককর পরিশোধ করে তা দেশের অভ্যন্তরে বাজারজাত করে সেই সকল প্রতিষ্ঠান হলো Home Consumption  বন্ড প্রতিষ্ঠান।  বর্তমানে বিদ্যমান বন্ড লাইসেন্স বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী এমন Home Consumption  লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ নেই। আপনারা জানেন ১৭৩৩ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার রবার্ট ওয়ালর্পুল বন্ড ব্যবস্থার প্রচলন করেন। সে সময় তামাক ও মদ জাতীয় পন্যের শুল্ককর এককালীন পরিশোধ না...

জাল দলিল চেনার উপায়

১. ভলিউডেমর তথ্য: সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের প্রকৃতি অনুযায়ী চারটি রেজিস্ট্রার বা ভলিউমে লেখা হয়ে থাকে। কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা দলিলের সাল মিলিয়ে দেখতে হবে। এজন্য নির্দিষ্টভাবে দরখাস্ত করতে হবে। এতে দলিলটির যাবতীয় তথ্য দিতে হবে! ২. স্বাক্ষর যাচাই: অনেক সময় স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দলিলদাতা বা গ্রহীতার সাজা হয়। এক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করিয়ে নেয়া যেতে পারে। এছাড়া ভূমি অফিস থেকে বিভিন্ন সিল পরীক্ষা করেও জালিয়াতি নির্ণয় করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে, অনেক আগের দলিলে আগের চিহ্নিত কিছু সিল ব্যবহারই থাকে। আগের দলিল কিন্তু সিল যদি নতুন হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, দলিলটি জাল হতে পারে। একই সঙ্গে তারিখটিও ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ কোনো সরকারি বন্ধের দিন থাকলে সন্দেহের অবকাশ থাকবে। অনেক সময় অর্পিত সম্পত্তি বা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি জীবিত দেখিয়ে জাল করা হয়! ৩. মূল মালিক শনাক্ত: এক জমির একাধিক মালিকের নামে করা থাকলে ধরে নিতে হবে দলিলটি জাল হতে পারে। এক্ষেত্রে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মূল মালিক কে, তা নি...

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রিটার্ণ বা দাখিলপত্র (মূসক-9.1) দাখিলের নিয়ম:

প্রশ্ন: একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রিটার্ণ বা দাখিলপত্র (মূসক-9.1) দাখিলের নিয়ম কী? যদি কোন কাজ না থাকে অথবা বিল না পেয়ে থাকে তাহলেও কী রিটার্ণ দাখিল করতে হবে? আমি তো বিগত কয়েক মাসের রিটার্ণ দাখিল করিনি আমার করণীয় কী? অনলাইনে কী রিটার্ণ দাখিল করা যাবে? সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর্তন সনদ মূসক-6.6 পেলে তা কিভাবে সমন্বয় করতে হবে? 6.6 না পেলে করণীয় কী? অনেক ক্ষেত্রে ফান্ড না থাকলে বিল পেতে এক বছরের বেশী সময় লেগে যায় সেক্ষেত্রে করণীয় কী? উত্তর: বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক ঠিকাদারের ক্ষেত্রে দাখিলপত্রে তার সরবরাহ এবং উৎসে কর কর্তন সমন্বয়ের জন্য যে পদ্ধতি তা নিম্নরূপ: ১) প্রথমত ঠিকাদারকে তার সরবরাহের বিপরীতে মূসক চালান-6.3 ইস্যু করতে হবে। ২) যে মাসে সরবরাহ করেছে বা মূসক চালান ইস্যু করেছে সে মাসের দাখিলপত্রে উক্ত সেবার বিপরীতে আউটপুট ট্যাক্স হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। যদি যে মাসে সরবরাহ সে মাসেই মূসক ৬.৬ পেয়ে থাকেন তাহলে দাখিলপত্রে মূসক-৯.১ এ প্রথমে আউটপুট ট্যাক্স (ভ্যাট রেট এর ভিত্তিতে ১৫% হলে নোট ৪ অন্যান্য হার হলে নোট ৭ এ) হিসাবে প্রদর্শন করতে হবে এবং মূসক ৬.৬ এর ভিত্তিতে দাখিলপত্র মূসক-...

Area Conversion of Satak to other Units। জমির হিসাব। সতক থেকে স্কয়ারফুট।

1 Satak = 0.01 Acres 1 Satak = 0.0040468564224 Hectares 1 Satak = 435.6 Sq. Feet 1 Katha = 720 Sq Feet (approx) 1 Satak = 40.468564224 Sq. Meters 1 Satak = 0.000040468564224 Sq. Kilometers 1 Satak = 48.4 Sq. Yards 1 Acre = 100 Satak 1 Hectare = 247.105381467165 Satak 1 Sq. Feet = 0.00229568411386593 Satak 1 Sq. Meter = 0.0247105381467165 Satak 1 Sq. Kilometer = 24710.5381467165 Satak 1 Cent = 1 Satak 1 Satak = 0.605 Katha 33 Satak = 19.965 Katha (1 Bigha)

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী একজন বাংলাদেশি কি পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাথে রাখতে পারবেন?

FE C ircular no: 08, Date 11/02/2020- মোতাবেক ১০ , ০০০ মাঃ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিনা ডিক্লেয়ারেশনে রাখা যাবে বাংলাদেশ  এ র  নাগরিকরা বিদেশ থেকে আসার সময় কোন ঘোষণা ছাড়াই ১০ , ০০০ মাঃ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে রাখতে পারবেন বা আনতে পারবেন । এজন্য সংশোধিত FMJ(Foreign Money and Jewellery) ( ফরেন মানি অ্যান্ড জুয়েলারি ) form এ উল্লেখ করা হয়েছে , কোনও ঘোষণা ছাড়াই অনধিক দশ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি নাগরিকরা সঙ্গে রাখতে পারবেন বা অনুমোদিত ডিলারের ( ডিলার মানে যে বা যিনি / প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যংকের নিকট হতে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন , যেমন:   মানি এক্সচেঞ্জ , ব্যাংক ) Foreign Currency Account জমা রাখতে পারবেন এবং বাংলাদেশ হতে বিদেশ যাওয়ার সময় তা সঙ্গে বহন করে ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন। নিবাসী   মানে বাংলাদেশী যিনি বিদেশে থাকেন ও সেখানে অর্থ উপার্জন করেন এমন ব্যক্তি কর্তৃক ১০ , ০০০ মাঃ ডল...