প্রতিটি ব্যবসায় একটি অদ্বিতীয় বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে। এই নম্বরটিকে বিন নম্বর বলা হয়। এই নম্বরটি পেতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে নিবন্ধন করতে হয়।
#কেন_বিন_করতে_হয়:
ব্যবসা পরিচালনার জন্য (যে কোন ধরণের সার্ভিস প্রদান ব্যবসা)
টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার জন্য
ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
আমদানি ও রপ্তানির সকল ক্ষেত্রে
#বিন_সার্টিফিকেট:
বাংলাদেশে প্রথমে ৯ ডিজিটের অ্যানালগ বিন সার্টিফিকেট ছিল। এরপর ২০১৮ সালে অনলাইন হওয়ার পর সেটা ১১ডিজিট করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে সকল বিন সার্টিফিকেট ১৩ ডিজিটের।
যে সকল ব্যবসায়ীরা পূর্বের কোন বিন সার্টিফিকেট নিয়েছেন, তাদেরকেও অবশ্যই ১৩ ডিজিটের এই বিন সার্টিফিকেট করে নিতে হবে।
#বিন_সার্টিফিকেট_করতে কি কি লাগবে:
১. ট্রেড লাইসেন্স
২. জাতীয় পরিচয়পত্র
৩. টিন সার্টিফিকেট
৪. ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
৫. লিমিটেড কোম্পানী বা পার্টনারশীপ ফার্ম হলে অন্যান্য ডকুমেন্টস
#বিন_করার_পর_ভ্যাট_রিটার্ণ_জমা_দিতে হবে কি না..?
বিন সার্টিফিকেট করার পর আপনাকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গতমাসের বিক্রয়ের উপর হিসাব করে ভ্যাট রিটার্ণ জমা দিতে হবে।
ভ্যাট আসুক বা না আসুক, রিটার্ণ আপনাকে অনলাইন এবং অফলাইনে অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
#রিটার্ণ_দাখিল_না_করলে কি হবে:
রিটার্ণ দাখিল না করলে অনলাইনে আপনার তৈরিকৃত সার্টিফিকেটের বিপরীতে অটোমেটিক মাসিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্ত হয়ে যাবে। যেটা যে কোন সময় ভ্যাট অফিস আপনার থেকে আদায় করতে পারবে।
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হয় বছরে একবার। আর ভ্যাট রিটার্ন দিতে হয় প্রতি মাসে একবার।
Comments
Post a Comment