যেকোনও দেশ থেকে পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।
কিভাবে করবেন?
প্রথমেই আপনাকে " আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক অফিস" বা CCIE অফিস থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি আমদানি লাইসেন্স করতে হবে যা IRC (Import Registration Certificate) নামে পরিচিত।
IRC করার জন্য লাগবেঃ
> NID বা জাতীয় পরিচয় পত্র
> তিন কপি ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)
> ট্রেড লাইসেন্স
> TIN সার্টিফিকেট
যে দেশ থেকে পন্য আমদানি করবেন সেই দেশের supplier বা উৎপাদনকারী সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এটা যে কোন ভাবেই হতে পারে, আপনার জানাশোনা থাকতে পারে বা amazon, alibaba থেকেও যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি অর্ডার করতে পারেন।
Supplier বাছাই করার পর আপনার কাঙ্ক্ষিত পন্যের পরিমান, ধরন, সংখ্যা ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরন Supplier কে জানানোর পর সে মূল্য সম্পর্কে একমত হবার পর তার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বিস্তারিত পন্যের বিবরন, পরিমান, দাম ও শর্ত সংযুক্ত একটি পূর্নাঙ্গ পত্র দিবে যা Proforma Invoice নামে পরিচিত।
এরপর আপনার কাজ হবে যে ব্যাংকে আপনি হিসাব রাখছেন সেই ব্যাংকে সকল প্রকার ডকুমেন্টস সমেত লেটার অফ ক্রেডিট(LC) ইস্যু করার জন্য আবেদন করা। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যাংক আপনার পক্ষে Supplier উদ্দেশ্যে LC ইস্যু করবে।
ব্যাংক কর্তৃক LC পাওয়ার পর আপনার Supplier সবকিছু ঠিকঠাক করে জাহাজ, ট্রাক, বা বিমানযোগে ( উপযুক্ততা বিবেচনায়) আপনাকে পন্য প্রেরন করবে যা কিনা আপনার দেশের সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর বা বিমানবন্দরে এসে পৌছবে। এই সবকিছুর বিস্তারিত ডকুমেন্টস, আপনাকে এবং আপনার ব্যাংকে পাঠানো হবে যাতে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার পন্য যাত্রাপথে আছে।
নির্ধারিত পোর্টে পন্য আসার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের পর আপনি পন্য খালাস করতে পারবেন। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এর জন্য কাস্টমস অফিসে আপনি নিজে ডিল করতে পারেন বা C & F এজেন্টের সহায়তা নিতে পারেন।
শুল্ক প্রদান ও সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে আপনি আপনার কাঙ্খিত পন্য আপনার প্রতিষ্ঠান বা আপনার প্রিমিসেসে নিয়ে আসতে পারবেন।
এরই মাধ্যমে শেষ হবে স্বাভাবিক আমদানি প্রক্রিয়া। অতঃপর আপনি আপনার ব্যাবসায়ের পরবর্তী ধাপের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
Comments
Post a Comment