পুরাতন টায়ার অনেক ক্ষেত্রেই রিসাইকল করে পুনঃ ব্যবহারযোগ্য করা হয়, যা উন্নত দেশেও আধুনিক যুগে করা হয়ে থাকে।
কোন পণ্য বা সেবার উপর ভ্যাট আছে কি নেই সেটা জানতে হবে মূসক আইনের মাধ্যমে। এখানে ধারণাগত পদ্ধতি বা আবেগের কোন সুযোগ নাই। মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর;
(ক) ধারা- ২৬ এর মাধ্যমে প্রথম তফসিলে উল্লিখিত পণ্য/সেবাকে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সাধারণত মৌলিক পণ্য যেমন- জীবন্ত পশু, মাছ, শাকসবজি, গম ইত্যাদি এই প্রথম তফসিল এর অন্তর্ভুক্ত। প্রথম তফসিলের পণ্য/সেবা সকল পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
(খ) ধারা- ১২৬ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। প্রজ্ঞাপন এস,আর.ও নং- ১৪৪- আইন/২০২০/১০৫ -মূসক, তারিখ -১১/০৬/২০২০ এর মাধ্যমে ৫টি টেবিলে কিছু পণ্য/সেবাকে শর্ত সাপেক্ষে মূসক অব্যাহতি করা হয়েছে। উক্ত এস,আর,ও এর "টেবিল-২" আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে) এবং "টেবিল -৩" (উৎপাদন পর্যায়ে) এর পণ্যগুলো পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই তালিকায় হলে শুধুমাত্র নির্ধারিত ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত। অন্যথায় স্বাভাবিকভাবে ভ্যাট আদায় করতে হবে।
(গ) আইনের ধারা -১৫ অনুযায়ী অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় সরবরাহের উপর মূসক আরোপিত ও প্রদেয় হবে। টায়ার রি-সাইকেলিং এর ক্ষেত্রে সাধারণত পুরাতন টায়ার পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা হয়। এক্ষেত্রে জীবিকা উপার্জনের উপায় হিসাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই কার্যক্রমকে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়নি। তাই টায়ার রিসাইকেলিং এর ক্ষেত্রে মূসক আদায়যোগ্য।
Comments
Post a Comment