পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রঃ
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। নতুন নিয়মে যাদের এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে সাড়ে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিকঃ
তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। সেটি এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। আর এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রঃ
অবসরভোগীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে এতদিন ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যেত। এখন এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ১৫ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে এই হার হবে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পরিবার সঞ্চয়পত্র:
পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এখন এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডঃ
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড পাঁচ বছর মেয়াদি। মেয়াদ শেষে এর মুনাফার হার ১২ শতাংশ ছিল এত দিন। এখন ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফা ১২ শতাংশই থাকছে। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে তা ১১ শতাংশ। ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ দশমিক শতাংশ। আর ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ৯ শতাংশ।
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডঃ
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড তিন বছর মেয়াদি। এই বন্ডে বিনিয়োগে মুনাফার হার পরিবর্তন করা হয়নি। বর্তমানে এই বন্ডে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার সাড়ে ৭ শতাংশ।
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডঃ
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডও তিন বছর মেয়াদি। মেয়াদ শেষে মুনাফার হার সাড়ে ৬ শতাংশ। এই বন্ডেও মুনাফার হারে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
----
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে বর্তমানে মুনাফার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, এতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
লক্ষ্য করুন*
১) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এই হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।
২) পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র—এ তিনটি মিলে সমন্বিত বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা হবে একক নামে ৫০ লাখ টাকা অথবা যৌথ নামে এক কোটি টাকা- অর্থাৎ যেকোনো একটি স্কীমে বা সকল স্কিম মিলিয়ে একবছরে একক নামে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা ৫০ লাখ টাকা।
আরেকটু সহজভাবে বলতে গেলে একজন ব্যক্তি তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিনটি স্কিম মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারতে পারবেন। তবে যেকোনো একটি স্কিমে ৩০ লাখ টাকার বেশি কিনতে পারবেন না, একমাত্র পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ব্যতীত। পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ একক বিনিয়োগ সীমা ৪৫ লক্ষ টাকা।
তবে যৌথ নামে আরও ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র যেহেতু শুধু পেনশনধারীদের জন্য, তাই তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধাটা হচ্ছে এই স্কীমে ৫০ লাখের বাইরেও যৌথ নামে তারা আরও এক কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
উল্লেখ্য, অতীতে ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা ক্রয় করা যেতো।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য বিনিয়োগ অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে সম্মানিত করদাতাগণের আয়কর হ্রাসের সুযোগ রয়েছে।
ই-মেইলঃ shaharul.tax17@gmail.com
ঠিকানাঃ ২ লিংক রোড (৯ম তলা) বাংলামটর, ঢাকা-১০০০
Comments
Post a Comment