নির্দিষ্ট নিশ নির্বাচন*
-------------------
এই কথা হয়ত আপনি অনেকবার শুনেছেন, কিন্তু ফাইভার বা যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি নিশ অর্থাৎ কাজের ধরন ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। আপনি হয়ত অনেক ধরনের কাজ পারেন, কিন্তু সব ধরনের কাজের জন্য গিগ না খুলে নির্দিষ্ট বিষয়ে গিগ খুললে বায়াররা যে ধরনের কাজের জন্য লোক খুঁজছে, তা খুঁজতে গিয়ে সহজে আপনার কাছে এসে পৌছাবে।
নিশ নির্বাচনের আরেকটি সুবিধা হলো নির্দিষ্ট সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা কমে যায় ও কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো বাড়ে। তাই কাজের শুরুতে নিশ নির্বাচন একান্ত জরুরি। নিশ নির্বাচনের আগে ঐ ক্যাটাগরিতে কাজ ও কাজের মূল্যের পরিমাণ নিয়ে রিসার্চ করতে ভুলবেন না।
*একাধিক সুবিধা প্রদান*
------------------------
একটি গিগে উল্লেখকৃত সেবার পাশাপাশি বোনাস সেবাও দিতে পারেন। বাড়তি সুবিধা বা টিপস প্রদান করে আপনার গিগ এর ডিমান্ড বাড়াতে পারেন। বায়াররা এসব নোটিশ করা শুরু করলে আপনার কাজ পাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
উদাহরণস্বরূপঃ ধরুন আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার যে ব্লগ পোস্ট লেখার সেবা দিয়ে থাকেন। এখন উক্ত ব্লগের সাথে বাড়তি বোনাস হিসেবে বিনামূল্যে ইমেজ, এসইও টাইটেল ও ডেসক্রিপশন, ইত্যাদি প্রদান করে বায়ারকে আপনার গিগ এর প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন।
*ধৈর্য রাখুন*
----------------
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় কাজ না পাওয়া নিয়ে। অল্প কিছুদিন কাজ করার পর নিয়মিত কাজ না পেয়ে অনেকে ধৈর্য হারিয়ে আশাহত হয়ে পড়ে। তবে শুরুর যাত্রায় কাজ পাওয়া যে কিছুটা মুশকিল, সেটা ভুলে গেলে চলবেনা।
ধৈর্য ধরে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী না হলে ফাইভার এর মত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মসমূহে টিকে থাকা বেশ কঠিন হবে। আপনি হয়ত গিগে হাজার হাজার গিগ ইমপ্রেশন পাবেন, তবে কাজ না ও পেতে পারেন। এমন অবস্থায় ধৈর্য না হারিয়ে সঠিক সময় ও সুযোগের অপেক্ষা করাই শ্রেয়।
*একাধিক গিগ তৈরী*
----------------------
একই ফাইভার প্রোফাইলে একাধিক গিগ তৈরি করতে পারেন। এতে একই নিশ (niche) এর একাধিক সেবা প্রদান করতে পারেন। এতে উক্ত নিশে আপনার কতৃত্ব সম্পর্কে ফাইভার কতৃপক্ষ ও বায়ার, উভয়েই নিশ্চিত থাকবে।
একাধিক ফাইভার গিগ তৈরী করলে কোনো না কোনো গিগ ভালো পারফর্ম করার সম্ভাবনা থাকে। আবার একটি গিগ থেকে যদি আয় কমেও যায়, অন্য গিগগুলো ঠিকই সচল থাকবে। তাই একাধিক গিগ রাখা নিয়মিত আয়ের ক্ষেত্রে একান্ত জরুরি।
*অন্যদের সংযুক্ত করা*
-----------------------
ফাইভারে সার্চ করে কিংবা প্রোফাইল পেজ থেকে গিগ দেখে ফেভারিট হিসেবে কোনো গিগকে এড করা যায়। এই ফেভারিট অপশনকে ফাইভার একটি কোয়ালিটি মেট্রিকস হিসেবে দেখে। তাই আপনার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের ফাইভার একাউন্ট থেকে আপনার গিগ লাইক করতে বলতে পারেন।
আপনার গিগে লাইক বেশি থাকলে বায়ারগণ আপনার গিগ এর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গিগ ফেভারিট হিসেবে এড করে আপনার গিগ এর র্যাংকিং ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে পারেন।
*পছন্দের সেবা সেল করা*
--------------------------
ফাইভারে সেল করার মতো অসংখ্য সার্ভিস রয়েছে। তবে যেকোনো সেলারের উচিত শুধুমাত্র তার পছন্দের কাজের সেবা সেল করা। এর ফলে কাজের প্রতি আপনার অনীহা আসবে না, আবার ভালো কাজ করতে আগ্রহ হারাবেন না। এইজন্য আপনি যেসব কাজের প্রতি প্যাশনেট, সেসব কাজ ফাইভারে সেবা হিসেবে প্রদান করা উচিত।
*বায়ারদের সাথে সম্পর্কে গড়ে তোলা*
---------------------------------------
একজন বায়ারের কাছ থেকে একবার কাজ পাওয়া মানেই উক্ত বায়ারের সাথে আপনার সম্পর্কের সমাপ্তি নয়। বায়ারের সাথে সম্পর্কে গড়ে তুললে উক্ত বায়ারের একই কাজ বা অন্য কোনো কাজ যা আপনি করতে পারেন, এমন কাজের প্রয়োজনে আপনি ঐ বায়ার থেকে কাজ পেতে পারেন। তাই বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা একটি ভালো বুদ্ধি হতে পারে।
বায়ারের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে উক্ত বায়ারের কাছ থেকে আপনার ভবিষ্যতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও উক্ত বায়ারের রিকমান্ডেশনের মাধ্যমে আপনি নতুন কাস্টমারও পেতে পারেন।
*কাজ পাওয়ার কৌশলসমূহ জানা*
-----------------------------------
ফাইভারে নতুন কাজ শুরু করলে কাজ না পাওয়ার মূল কারণ হতে পারে আপনি ফাইভার ব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না। তাই ফাইভারে সেলার হিসেবে কাজ শুরুর আগে ফাইভারে কাজ পাওয়ার কার্যকরী কৌশলসমূহ সম্পর্কে জেনে নিন। বাংলাটেক এর ফাইভারে কাজ পাওয়ার কৌশল সম্পর্কে পোস্টটি থেকে একজন নতুন সেলার হিসেবে ফাইভারের প্রয়োজনীয় সকল ফিচার ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।
*গিগে ভিডিও এড করা*
-------------------------
ফাইভার এর তথ্যমতে, যেসব গিগে ভিডিও রয়েছে সেসব গিগ ২০০% অধিক সেল অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সেলার হিসেবে প্রথম সেল জেনারেট করতে গিগে ভিডিও এড করতে ভুলবেন না। নতুন সেলার হিসেবে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ও অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে গিগে ভিডিও এড করা বেশ কাজে আসতে পারে। তাই গিগ এর ডেসক্রিপশন ও ছবির পাশাপাশি ভিডিও এড করতে ভুলবেন না।
*গিগ ডেলিভারির সময় বজায় রাখা*
------------------------------------
গিগ সেটাপ করার পর গিগে উল্লেখিত ডেলিভারি টাইম চেক করুন। সবসময় উল্লেখিত ডেলিভারি টাইমের মধ্যে কাজ ডেলিভার করার চেষ্টা করুন। কোনো কারণে কাজ ডেলিভারি করতে দেরি হবে মনে হলে আগে থেকে বায়ারের সাথে সে বিষয়ে কথা বলে রাখুন। ফাইভারে সফল হতে গেলে ডেলিভারি টাইম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
*এসইও এর সঠিক ব্যবহার*
----------------------------
ফাইভারে বায়াররা সার্চ করে আপনার গিগ খুঁজে নেয়। তাই গিগ এর এসইও কে হালকাভাবে নিলে চলবে না। সেরা গিগগুলো দেখুন ও তাদের অনুসরণ করা সেরা উপায়ে আপনার গিগ এর এসইও করুন। গিগ এর টাইটেল, ডেসক্রিপশন, কিওয়ার্ড, ইত্যাদি এমনভাবে সাজান যাতে আপনার প্রদত্ত সেবা সম্পর্কে সার্চ করলেই আপনার গিগ সবার আগে প্রথম পেজের প্রথম সারিতে প্রদর্শিত হয়। আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে ভালোভাবে গিগ এসইও করার বিষয়টি।
*ফাইভার অ্যাপ ব্যবহার*
---------------------------
ফাইভার এর অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ রয়েছে। অর্ডার ও বায়ার রিকোয়েস্ট সম্পর্কে আপডেটেড থাকতে ফাইভার অ্যাপ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। দ্রুত রেসপন্স এর মাধ্যমে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার বায়ার রিকোয়েস্ট করা যায় খুব দ্রুত। সাথে চলমান ক্লায়েন্টের কাজ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়া যায় খুব সময়ের মধ্যে। তাই সকল ফাইভার সেলারের ফাইভার অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।
---------------------------
** Fiverr Guide lines**
---------------------------
Comments
Post a Comment